Sunday, November 17, 2019

অর্পিতা কি বাঁচবে?

https://ift.tt/2rRUp6C

গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে পুড়ে গেছে শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ। মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) হাসপাতালে।

দোকান থেকে নাস্তা আনতে যাওয়ায় ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান অর্পিতার ছোট ভাই অর্ণব।

অনর্ব জয়নিউজকে বলেন, সকালে নাস্তা নিয়ে এসে দেখি ঘর ভেঙে গেছে। তখনও বুঝতে পারিনি আমার বোন ও মাসি আগুনে ঝলসে গেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে অর্ণব প্রশ্ন করেন, আমার বোন কি বাঁচবে?

রাঙ্গুনিয়া থেকে ছুটে আসলেন অর্পিতার মা

অর্পিতা নাথ (১৬), নগরের কৃষ্ণকুমারী স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নগরের পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের কুঞ্জমনি ভবনে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে মারাত্মক আহত হয়েছে এই স্কুলশিক্ষার্থী।

রাঙ্গুনিয়ার লালারহাট সুধাংশু নাথের বাড়ির কাজল নাথের মেয়ে অর্পিতা। তার মায়ের নাম মনি রানী।

জানা যায়, কার্তিক পূজার জন্য গ্রামের বাড়ি যান অর্পিতার মা-বাবা। তাই অর্পিতা ও অর্ণবকে মাসি সন্ধ্যা রানীর (৫৫) বাসায় রেখে যান।

সকালে ঘটনাস্থলে ছিলেন অর্পিতা, তার মাসি সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যার ছেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অর্ণব। দোকান থেকে নাস্তা আনতে যাওয়ায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় অর্ণব। সে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।

এদিকে দুর্ঘটনায় অর্পিতার সঙ্গে আহত হন সন্ধ্যা রানিও। তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রসঙ্গত, সন্ধ্যা রানীর বাসা পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের কুঞ্জমনি ভবনের পাশে অমর বড়ুয়ার বিল্ডিংয়ে। তারা ওই বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ভাড়া থাকেন।

আপির্তার আত্নীয় রাকেশ ধর বলেন, বাসার দেওয়াল সম্পনর্ ভেঙে গেছে। ঘটনার পর আমরা পুলিশকে ফোন দেই। পুলিশ আসতে আসতে দেরি করলে আমরা আবার আম্বুলেন্সের জন্য ফোন করি। পরে ট্রাকে করে নিয়ে আসি।

অর্পিতার মা মনি রাণী দেবী জয়নিউজকে বলেন, আমাদের বাড়ি রাঙ্গুনিয়াতে। পূজার জন্য আমরা বাড়ি গিয়েছিলাম। ছেলে-মেয়েকে তাদের মাসির কাছে রেখে গিয়েছিলাম। ছেলে বাঁচলেও আমার মেয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

জয়নিউজ/কাউছার/হিমেল/বিআর

The post অর্পিতা কি বাঁচবে? appeared first on জয়নিউজবিডি.

https://ift.tt/2pu4Zjo

0 comments :

Post a Comment